ঠান্ডা উধাও, ঘূর্ণিঝড়ের কতটা প্রভাব পড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গে
বেশ একটু একটু করে ঠান্ডা পড়ছিল। কিন্তু সে রাস্তা রুখে দিল বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়। ভিজতে চলেছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা।
ডিসেম্বর পড়ে গেছে। কিন্তু শীতের দেখা নেই। এখনও অনেক বাড়িতেই দিব্যি ফ্যান চলছে। ফ্যান ছাড়া বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছেনা। কিন্তু কিছুদিন আগেও এমন অবস্থা ছিলনা। বরং বেশ একটু একটু করে শীত পড়ছিল। এখন কোথায় গেল সেই শীতের পরশ? এই ঠান্ডা উধাওয়ের পিছনে হাত রয়েছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলা একটি ঘূর্ণিঝড়ের।
দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি একটি গভীর নিম্নচাপ অচিরেই ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে এগিয়ে আসতে চলেছে। পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৫ ডিসেম্বর স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা। দক্ষিণ কর্ণাটকের মছলিপত্তনমের কাছ দিয়ে তা স্থলভাগে প্রবেশ করবে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ওপর পড়বে না ঠিকই, তবে একদম রেহাইও পাবেনা বাংলা। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ রাজ্যে প্রচুর জলীয় বাষ্পের প্রবেশ ঘটতে চলেছে। যার জেরে আগামী ৬, ৭ ডিসেম্বর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়।
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, ২ মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। তারপর অবশ্য আকাশ পরিস্কার হয়ে যাবে।
তবে এই ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টির সম্ভাবনায় ডিসেম্বরের শুরুতে শীতের দফারফা হচ্ছে। ঠান্ডা সে অর্থে পড়বে না অন্তত ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৮ তারিখের পর থেকে আবহাওয়ায় পরিবর্তন হতে পারে। তখন যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে শীতের দাপট বাড়তে পারে। তার আগে কিন্তু এখন যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাই থাকবে।