সক্রিয় জেট স্ট্রিম, লাল সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন
দেশের একটা বড় অংশ জুড়ে ঠান্ডা আরও বাড়বে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কুয়াশার দাপট এতটাই বাড়বে যে সেজন্য লাল সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর।
ভয়ংকর ঠান্ডা থেকে রেহাই মেলা তো দূর, বরং আরও বেশি ঠান্ডার মুখে পড়তে চলেছেন দেশবাসী। শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আর তার হাত থেকে এখনই ভারতের বিস্তীর্ণ অংশের রেহাই নেই। দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের একটা অংশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের একটা অংশ জুড়ে পারদ ২ থেকে ৫ ডিগ্রির মধ্যেই ঘুরে বেড়াবে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা।
সেই সঙ্গে যেটা আরও ভয়ংকর হতে চলেছে তা হল কুয়াশার দাপট। একেই কুয়াশার জন্য জনজীবন বিপর্যস্ত। শীত ঠেকাতে গরম পোশাক রয়েছে, কিন্তু কুয়াশায় ভাল করে দেখতে না পাওয়া থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই।
কুয়াশার দাপট এতটাই ভয়ংকর হতে চলেছে আগামী কয়েকদিনে যে মৌসম ভবন কুয়াশার জন্য লাল সতর্কতা জারি করে দিয়েছে।
আবহবিদেরা এজন্য দায়ী করছেন জেট স্ট্রিম-কে। জেট স্ট্রিম হল সমতল থেকে ১২-১৪ কিলোমিটার উপর দিয়ে বয়ে চলা এক ধরনের স্রোত। ঠান্ডা হাওয়ার স্রোত। যা পরিস্থিতি ভয়ংকর করে তুলছে উত্তর ভারত জুড়ে।
সেই জেট স্ট্রিম এতটাই সক্রিয় যে তার জেরেই ঠান্ডা বাড়ছে, বাড়ছে কুয়াশার দাপট। উত্তর ভারতে সমতলের ১২.৬ কিলোমিটার উপর দিয়ে একটি জেট স্ট্রিম সক্রিয় রয়েছে।
সেই সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ তো চলেছেই। গত বছরের শেষের দিক থেকে যে শৈত্যপ্রবাহ উত্তর ভারতের একটা বড় অংশকে গ্রাস করেছিল, তা এখনও অব্যাহত।
কাশ্মীর, হিমাচল বা উত্তরাখণ্ডে বরফ না পড়ায় ঠান্ডার পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে। বিশ্বজুড়ে যে আবহাওয়ার পরিবর্তন ক্রমশ প্রকট হচ্ছে, তা এবার উত্তর ভারত জুড়ে শীতের দিনে স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
তুষারপাত না হওয়া, শৈত্যপ্রবাহ চলতেই থাকা, জেট স্ট্রিম এতটা সক্রিয় হয়ে ওঠা সবই অচেনা আবহাওয়ার সম্মুখীন করেছে বিশাল সংখ্যক মানুষকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা