দেশের মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে অদৃশ্য স্পর্শ
রাতে একটা ভাল ঘুম সারাদিনের কর্মক্ষমতাকে ধরে রাখে। কিন্তু দেশের অনেক মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে এক অদৃশ্য স্পর্শ। যা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন সকলে।
সারাদিনের ক্লান্তিকে মুছে দিয়ে ফের এক তরতাজা দিনের ব্যস্ততার সঙ্গে লড়াই করার পুরো প্রাণশক্তিটা ফিরিয়ে দিতে পারে রাতের একটা নিশ্চিন্ত ঘুম। ঘুমে ব্যাঘাত, রাত জাগা, গভীর রাতে ঘুমোতে যাওয়া, রাত পর্যন্ত মোবাইল বা টিভিতে মুখ গুঁজে থাকা পরদিনের কাজের স্ফূর্তি নষ্ট করে।
সারাদিন একটা ঘুম ঘুম ভাবের মধ্যে কাটে। মানসিক চাপেও অনেক সময় ঘুম ব্যাহত হয়। যা কিন্তু সরাসরি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে।
কিন্তু এখন ভারতের বহু মানুষ এক অন্য সমস্যায় রাত জাগছেন। রাতে ভাল করে ঘুম হচ্ছেনা। বার বার উঠে বসে পড়ছেন। অনেক সময় ঘামে ভিজে যাচ্ছে শরীর, বিছানা।
এক খতিয়ান বলছে গত ১০ বছরে ভারত তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই একটা সমস্যা মাথাচাড়া দিয়েছে। সেটা হল বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে রাতের পারদ বৃদ্ধি। রাত অপেক্ষাকৃত গরম হয়ে উঠেছে।
ভারতে কম করে বছরের ৮০ দিনের মত এমন যাচ্ছে যে রাতের গরমে ঘুম উড়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। এসি চালিয়ে যাঁরা ঘুমোনোর সুযোগ পাচ্ছেন, তাঁদের কথা বাদ দিলে বাকি দেশবাসীর সিংহভাগই গরমে ভাল করে ঘুমোতে পারছেন না। যা তাঁদের ঘুম ও স্বাস্থ্যের ওপর অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দিন তো গরম হচ্ছেই। তবে রাতের পারদ বৃদ্ধি দিনের পারদ বৃদ্ধির চেয়েও অনেক বেশি হয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
গত মঙ্গলবারই দিল্লিতে রাতের পারদ ৩৫ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল। যা ১২ বছরে সর্বাধিক। মুম্বই সহ বাকি অনেক শহরের অবস্থাও একইরকম।
এই গরমের সবচেয়ে বেশি প্রভাব কিন্তু পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে। দার্জিলিং, সিমলার মত শৈল শহরের মানুষেরও রাতের ঘুম উড়েছে অস্বাভাবিক গরমে। গরমের জন্য রাতের পারদ বৃদ্ধি এক ভয়ংকর অদৃশ্য স্পর্শের মত কেড়ে নিচ্ছে দেশবাসীর শান্তির ঘুম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা