সংকটের মুখে মানবসভ্যতা, কমছে মহাসমুদ্রের শ্বাস ক্ষমতা
মহাসমুদ্রের বিপুল জলরাশির শ্বাস ক্ষমতা ক্রমশ কমছে। এভাবেই ব্যাখ্যা করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। যা কার্যত মানবসভ্যতাকেই গভীর সংকটের মুখে ফেলতে চলেছে।
পৃথিবীর সিংহভাগই জল। স্থলভাগ তুলনায় সামান্যই। সেই জলের অধিকাংশটাই দখলে রেখেছে মহাসমুদ্রগুলি। বিজ্ঞানীরা এবার সেখানেই নতুন এক বিপদের গন্ধ পেলেন। যদিও তাঁরা কেবল মহাসমুদ্র বলেই নয়, যাবতীয় সমুদ্র, মহাসমুদ্র মিলিয়ে যে বিপুল জলরাশি রয়েছে, তার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এই জলের শ্বাস ক্ষমতা কমছে। কেন এমনটা বলছেন তাঁরা? এর পিছনেও সেই ঘুরেফিরে উষ্ণায়নই কাঠগড়ায়। জলবায়ু পরিবর্তন এবং গ্রিন হাউস গ্যাসের অবাধ নির্গমন যে উষ্ণায়নের জন্ম দিয়েছে তা সমুদ্রের জলরাশিকেও গরম করছে।
আর জল যত গরম হবে ততই সেই জলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে থাকবে। সমুদ্রের জলে বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন মিশে থাকে। যা কার্যত যে কোনও জলজ জীবনকে বাঁচিয়ে রেখেছে। সমুদ্রের মাছ থেকে জলজ প্রাণি থেকে জলজ গাছপালা, সবই এই তালিকায় পড়ছে।
যেভাবে জলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে তাতে প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। জলকে দূষিত করা চলতে থাকলে এটা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। যা পরিস্থিতি তাতে খুব দ্রুত এই অক্সিজেন স্তর জল থেকে কমা দূরে থাক বাড়ানো দরকার।
জলবায়ু পরিবর্তনের যে উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে নেওয়া হয়েছে, তাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা স্থির হয়েছে। সেই পদক্ষেপের তালিকায় জলে অক্সিজেন বৃদ্ধির বিষয়টিকেও যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
জলে অক্সিজেন যে হারে কমছে তাতে প্রকৃতির স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল বলে মনে করছেন তাঁরা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।