মাত্র একদিনের বৃষ্টিতে ম্যাজিক দেখল দক্ষিণবঙ্গ
অগাস্টের প্রথম দিনে অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবারে মাত্র ১ দিনের বৃষ্টিতে কার্যত ম্যাজিক দেখল দক্ষিণবঙ্গ। শুক্রবারও দফায় দফায় বৃষ্টি চলেছে।
জুনের শুরুতেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। তারপর থেকে উত্তরের হিমালয় ছোঁয়া পার্বত্য জেলাগুলিতে যেভাবে অঝোর বর্ষণ হয়েছে তাতে নাজেহাল হয়ে যান উত্তরবঙ্গের উপরের ৫ জেলার বাসিন্দারা। তিস্তা সহ প্রায় সব নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে থাকে।
এখনও যে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি রেহাই দিচ্ছে এমনটা নয়। ঠিক তার উল্টো ছবি ধরা পড়েছিল দক্ষিণবঙ্গে। একে তো মধ্য জুন পার করে বর্ষার আনুষ্ঠানিক প্রবেশ ঘটে দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু তাতেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি।
জুন পার করে জুলাই মাস জুড়েও সেভাবে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। ফলে বৃষ্টি ঘাটতি সার্বিকভাবে দক্ষিণবঙ্গে ৪০ শতাংশের উপরে গিয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু ক্যালেন্ডার অগাস্টে পা দিতেই কেমন যেন অন্য চিত্র ধরা পড়েছে। গত বুধবার মানে জুলাইয়ের শেষ দিন থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমি অক্ষরেখার প্রভাবে। সেই বৃষ্টি বৃহস্পতিবার চরম পর্যায়ে পৌঁছয়।
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলায় অতি প্রবল বৃষ্টি হয় ১টা দিন জুড়ে। অনেক জায়গাতেই শতাধিক মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে একদিনে। অনেক জায়গাতেই জল জমে যায়।
এই ১ দিনের প্রবল বর্ষণ কিন্তু এক ধাক্কায় ২ মাসের বর্ষা ঘাটতিকে অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। ৫ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বর্ষা ঘাটতি পূরণ হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। তাও মাত্র ১ দিনের বৃষ্টিতে।
দক্ষিণবঙ্গে অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে প্রবল বর্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। এবারও তার অন্যথা হবেনা বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। অগাস্ট, সেপ্টেম্বরে ভাল বৃষ্টি পেতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। ফলে বর্ষা ঘাটতি অনেকটাই পুষিয়ে যাবে পুজোর আগে।
শুক্রবারও দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কলকাতায় অবশ্য আগামী কয়েকদিনে ভারী নয়, বরং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সামনের সপ্তাহে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিই পাবে দক্ষিণের অন্য জেলাগুলি।