৪০০ বছরে এই প্রথম, মানবসভ্যতা কি তবে ধ্বংসের মুখে
৪০০ বছরে এমনটা ঘটেনি। এই প্রথম তা দেখা গেল। যা কার্যত যে কারও শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বইয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে নানা মহলে আলোচনা হচ্ছে। এই উষ্ণায়নের গতি যে বেশ দ্রুত তাও সত্যি। দ্রুত বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর আবহাওয়া। ভারতই এবার গ্রীষ্মে যে গরম সহ্য করেছে তা দেশবাসীর অজানা। এমন গরম তাঁরা আগে দেখেননি। একই অবস্থা ইউরোপের।
সেখানেও প্রতিবছর গরমে কার্যত টিকতে পারছেন না মানুষজন। পারদ চড়েই চলেছে। এবার সেই পারদ উত্থান ভয় ধরিয়ে দিল বিজ্ঞানীদের।
অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ হল বিশ্বের সবচেয়ে আলোচ্য প্রবাল প্রাচীর। যা রক্ষা করার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চলছে। সেই গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের উত্তাপ পরিমাপ করে দেখা গেছে তা ৪০০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
গত ৪০০ বছরে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এত গরম কখনও হয়নি। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ লাগোয়া যে সমুদ্রতল রয়েছে তার উত্তাপ পরীক্ষা করার পরই চোখ কপালে উঠেছে বিজ্ঞানীদের।
বিজ্ঞানীরা যে উত্তাপ পেয়েছেন তাতে তাঁরা রীতিমত আতঙ্কিত। তাঁরা মনে করছেন, এভাবে গরম বাড়া যদি এখনই রোখা সম্ভব না হয় তাহলে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে রক্ষা করা অসম্ভব হবে।
কারণ আর পরিস্থিতি খারাপ হলে এই বিখ্যাত প্রবাল প্রাচীরের যে অবস্থা হবে, সেই অবস্থা থেকে তাকে আর ফেরানোর কোনও উপায় থাকবেনা।
বিজ্ঞানীরা এটাও পরিস্কার করে দিয়েছেন যে যেভাবে সমুদ্রে উত্তাপ বেড়ে চলেছে তার একমাত্র কারণ মানুষ। মানুষের ভুলেই এই কাণ্ড হচ্ছে। গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন রুখতে এখনও সেভাবে সচেষ্ট নয় মানুষ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।