মাত্র ৮০ বছরে সমুদ্রের জল তার চরিত্র বদলেছে, মানবসভ্যতার জন্য অশনিসংকেত
যে পরিবর্তনের কথা বিজ্ঞানীরা বলছেন তা জানলে শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যেতে পারে। এমনই ভয়ংকর সে তথ্য। মাত্র ৮০ বছরে সমুদ্রের জল বদলেছে তার চরিত্র।

পৃথিবী তৈরি হওয়ার পর ক্রমে সমুদ্রের জন্ম। তারপর তার ভৌগলিক পরিবর্তন। এসব তো জানা। তারপর কিন্তু সমুদ্র তার নিজের মত থেকেছে। স্থলভাগে ক্রমে জীবজগতে এসেছে নানা পরিবর্তন। কিন্তু সে সময় সমুদ্র কি দ্রুত বদলাতে থেকেছে? তেমনটা তো নয়।
কিন্তু গত ৮০ বছরে সমুদ্রে যে পরিবর্তন হয়েছে তা কিন্তু মানবসভ্যতার জন্য অশনিসংকেত। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ১৯৪০ পর্যন্ত সমুদ্রের জলের উপরিভাগ বছরে ১৫ দিনের মত প্রবল উত্তপ্ত হয়ে উঠত।
প্রবল উত্তাপ কেবল ওই ১৫ দিনের জন্যই প্রতিবছর বরাদ্দ ছিল। যা বহুকাল ধরে চলে আসলেও তার পরিবর্তন শুরু হয় ১৯৪০ সালের পর থেকে। ক্রমে সমুদ্রের জলের উপরিভাগ আরও বেশি দিনের জন্য উত্তাপের আঁচে সেঁকতে থাকে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, তারপর থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সমুদ্রের জলই বছরে ১৫ দিনের বদলে এখন ৫০ দিন এই অতি উত্তাপের আঁচ সহ্য করছে। ফলে সমুদ্রের উপরিভাগের জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই পরিস্থিতি বিশ্ব উষ্ণায়নের ফল। যা কিন্তু কার্যত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আবহমান আবহাওয়ার ওপর অতি বিরূপ প্রভাব ফেলছে। স্থানীয় মানুষ অচেনা আবহাওয়ার দাপট সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছেন।
শুধু মানুষ বলেই নয়, এই সমুদ্রের উপরিভাগের দীর্ঘমেয়াদী অতি উত্তাপ সমুদ্রের জলের তলার অংশের বাস্তুতন্ত্রকে নষ্ট করছে। প্রবাল প্রাচীরগুলিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সামুদ্রিক উদ্ভিদের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতি করছে।
বিশ্ব উষ্ণায়নে লাগাম দেওয়া না গেলে কিন্তু সমুদ্রের উপরিভাগের উত্তাপ বৃদ্ধির প্রবণতা বন্ধ হবেনা। যা আখেরে মানবসভ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা