পৌষ সংক্রান্তির বিশেষ উপহার! নাকি শুভ দিন দেখেই শুরু শীতের নাচন! সত্যিটা কী সেটা প্রকৃতিই জানে। তবে কারণ যাই হোক কলকাতাবাসী কিন্তু বেজায় খুশি। লেপ কম্বল বার করেও তার সদ্ব্যবহার না হাওয়ার খেদ যেমন কেটেছে, তেমনই বিছানায় একটু বেশি সময় উষ্ণতার ওমটাকে তারিয়ে উপভোগও করছে। একে শনিবার, তার ওপর পৌষ সংক্রান্তি। আকাশে, বাতাসে ছুটির মেজাজ। তারসঙ্গে তারিয়ে ঠান্ডা। বাঙালিকে আর পায় কে! পিঠেপুলির খোশগন্ধে মেতে বাঙালি এদিন ঘরছাড়া। আবহাওয়া দফতর বলছে শহরের পারদ নেমেছে ১১.৯ ডিগ্রিতে। স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি কম! রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় আরও হাড়হিম করা ঠান্ডা। জলপাইগুড়ি ৬.২, কোচবিহার ৫.৫, বাঁকুড়া ৯.২, শ্রীনিকেতন ৭.৬, বর্ধমান ১১.৫ ডিগ্রি। সব জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমেছে পারদ। উত্তর ভারত জুড়ে হাড় কাঁপানো ঠান্ডার জেরেই এই অবস্থা বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। গোটা উত্তর ভারত জুড়ে অনেক জায়গায় চলছে তুষারপাত। তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের নিচে। কার্গিলে এদিন পারদ নেমেছে মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে! একই অবস্থা শ্রীনগর সহ গোটা জম্মু কাশ্মীরে।
গত ৫ বছরের মধ্যে এবছরই সবচেয়ে বেশি ঠান্ডার কবলে ভূস্বর্গ। পারদ নেমেছে দিল্লিতেও। এদিন দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানেও প্রবল শীতের কামড়ে জবুথবু মানুষ। সর্বত্রই পারদ ছুঁয়েছে হিমাঙ্কের আশপাশ। এদিন লখনউতে পারদ নামে হিমাঙ্কে। অর্থাৎ ০ ডিগ্রিতে। গত ৪ বছরে এত নিচে লখনউয়ের পারদ নামেনি। প্রসঙ্গত ১৯৬৪ সালে মাইনাস ১ ডিগ্রিতে নেমেছিল লখনউ। সেটাই এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। সেই রেকর্ড এবার ভেঙে যেতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে। এদিকে প্রবল কুয়াশার দাপটে নাজেহাল দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন চলাচল। প্রভাব পড়ছে বিমান ওঠানামাতেও। আগামী বেশ কয়েকদিন এই ঠান্ডার দাপট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।