গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে ভ্যাপসা গরম অব্যাহত। সকাল থেকেই মানুষ গলদঘর্ম। আগুনে গরমে অনেকেই বেশিক্ষণ রাস্তায় থাকতে পারছেন না। মাঝেমধ্যে আকাশে মেঘের টুকরো দেখা দিলেও বৃষ্টির দেখা নেই। কবে বৃষ্টি হবে তাও পরিস্কার করে কিছু জানাতে পারছে না আবহাওয়া দফতর। গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে যখন জ্যৈষ্ঠের গরমে মানুষ জ্বলছে, তখন রাজ্যের পশ্চিম ও উত্তরে এদিন স্বস্তির বার্তা বয়ে আনল প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। শুক্রবার সকাল ১০টার পর উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জায়গাতেই শুরু হয় প্রবল ঝড়। সঙ্গে নামে বৃষ্টি। অল্প নয়, বৃষ্টি হয়েছে ঝেঁপে। ফলে গরম উধাও হয়ে উত্তরবঙ্গ জুড়ে মনোরম পরিবেশ বিরাজ করছে। যদিও এর মাঝেই উত্তর দিনাজপুরের করনদিঘি ও ইটাহারে বাজ পড়ে ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুধু উত্তর নয়, প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও। পুরুলিয়ায় প্রবল ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাজ পড়ে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে বীরভূমেও। সেখানেও বাজ পড়ে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাজ পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে মোট ৭ জনের। রাজ্যের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে দারুণ ঝড়বৃষ্টি হলেও গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গকে খুশি থাকতে হয়েছে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে। প্রাপ্তির ঝুলিতে নেহাতই রাত পর্যন্ত ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে দু’চার ফোঁটা বৃষ্টি। যা মাটি ঠান্ডা করেনি, বরং মাটির তাপটা তুলে এনে আরও গরম বাড়িয়েছে। স্বস্তি দিয়েছে কেবল ঠান্ডা হাওয়া। শুধু কলকাতা নয়, এই একই ধরণের সন্ধেরাত উপলব্ধি করেছেন হুগলি, দুই ২৪ পরগনার বাসিন্দারাও।