
রাজ্য জুড়ে পারদ পতন অব্যাহত। কলকাতার তাপমাত্রা এদিন আরও নেমেছে। পারদ ঠেকেছে ১০.৬°-তে। মাত্র ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ ডিগ্রি পারদপতন মুখের কথা নয়। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস পারদ পতন এখানেই থেমে থাকবে না। সামনের সপ্তাহে আরও পড়বে পারদ। তবে কী এবার ঠান্ডায় রেকর্ড গড়তে চলেছে তিলোত্তমা? তেমন একটা সম্ভাবনা কিন্তু উঁকি দিচ্ছে। রবিবারের রোদ গায়ে মেখে তাই সকাল থেকেই বাড়ি ছেড়েছেন শহরবাসী। কাছেপিঠে ঘোরার জায়গাগুলোতেও তিল ধারণের জায়গা নেই। ইকো থেকে নিক্কো, ভিক্টোরিয়া থেকে চিড়িয়াখানা, সর্বত্র মিঠে রোদের পরশ মেখে রঙিন পোশাকে সেজে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। কটা দিনের ঠান্ডাকে কোনওভাবেই যে হাতছাড়া করতে তাঁরা রাজি নন, তা এদিনের মানুষের উৎসাহ থেকেই স্পষ্ট।
কলকাতার পারদ পতনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন জেলাও হাড়হিম করা ঠান্ডায় কাঁপছে। বেলার দিকে সোয়েটার সাধারণত লাগে না। কিন্তু এবার শেষ এক সপ্তাহে ঠান্ডার ধারাবাহিকতার জেরে দিনের কোনও সময়েই গা থেকে সোয়াটার নামানো মুশকিল হচ্ছে। তবে তাতে দুঃখ নেই। চুটিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করছেন সকলে। কোথাও দেখা গেছে আগুন জ্বালিয়ে গোল হয়ে বসে আগুন পোহাতে। কোথাও দেখা গেছে চায়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড়। গরম চায়ের পেয়ালা দুহাতে চেপে ধরে খোশগল্পে মেতে উঠেছেন অনেকে।
এদিনও বাঁকুড়া থেকে শিলিগুড়ি, বহরমপুর থেকে পুরুলিয়া, বীরভূম থেকে সুন্দরবন, সর্বত্রই পারদ ৫ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। দিঘায় এদিন পারদ নেমেছে ৯.৬ ডিগ্রিতে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঠান্ডার অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। ফলে আপাতত এই ঠান্ডা বজায় থাকবে। মানুষের এখন একটাই প্রার্থনা। এই ঠান্ডাটা যত দিন পারে থাকুক। শীতটা তো ক্ষণিকের অতিথি। এরপর তো সেই গরম আর বর্ষায় নাজেহাল হতে হবে গোটা বছরটা।