মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করার কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিলনা। তাঁর বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রীর অসম্মান হয়ে থাকলে তিনি সেজন্য দুঃখিত। কাউকে অপমান করার জন্য তিনি কোনও কথা বলেননি। ভবিষ্যতে তিনি এধরণের কোনও মন্তব্য থেকে দূরে থাকবেন। মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত গত ২ ডিসেম্বর হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় দিলীপবাবু একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন। কেন্দ্র চাইলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চুলের মুঠি ধরে দিল্লি থেকে বাইরে বের করে দিতে পারে বলে ওই জনসভায় হুংকার দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তৃণমূল। এরপর গত রবিবার ঝাড়গ্রামে অপর একটি জনসভায় তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে কটাক্ষ করেন। এদিন বিধানসভায় একটি বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে কটূকথা বলার প্রসঙ্গটি ওঠে। দিলীপবাবু নিজেই জানান, সেসময়ে স্পিকার তাঁকে বলেন, তিনি একটি দলের রাজ্য সভাপতি। তাঁর মুখে এধরণের বক্তব্য শোভা পায়না। তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। তারপরই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।