সম্পত্তি রক্ষা সংক্রান্ত বিল। এদিন এই বিল বিধানসভায় পেশ করে রাজ্য সরকার। বিল পেশকে সামনে রেখে বিবাদের সূত্রপাত। বিলের প্রতিবাদে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়েন বাম ও কংগ্রেস বিধায়কেরা। আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে চলছিল বিক্ষোভ। তখন স্পিকার আবদুল মান্নানকে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ করতে মানা করেন। কিন্তু সে কথা মান্নান না শোনায় তাঁকে ২ দিনের জন্য সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী সাসপেন্ড করা হলে সংশ্লিষ্ট বিধায়ককে অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। কিন্তু তা না করে ওয়েলে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আবদুল মান্নান। তাঁকে সরাতে মার্শাল ডাকা হয়। মার্শালরা তাঁকে জোর করে সরানোর চেষ্টা করলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কংগ্রেস ও বাম বিধায়কদের সঙ্গে মার্শালদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এই ধাক্কাধাক্কির মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল মান্নান। তাঁকে তৎক্ষণাৎ লেনিন সরণির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে বিধানসভায় কংগ্রেস ও বাম বিধায়কেরা তাণ্ডব চালিয়ে অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করে বাইরে বেরিয়ে আসেন। বিরোধীশূন্য বিধানসভায় পাশ হয়ে যায় সম্পত্তিরক্ষা সংক্রান্ত বিল। এদিকে তখন বিধানসভার বাইরে মিছিল করছেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়কেরা। একজোট হয়ে বিক্ষোভেও সামিল হন তাঁরা। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি কোনওভাবেই মানুষের সম্পত্তি নষ্ট করতে দেবেন না। সরকারি সম্পত্তি যারা নষ্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এ ধরণের মামলা নিষ্পত্তির জন্য একটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরির জন্যও তিনি হাইকোর্টের কাছে আবেদন করবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বামেরা। বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর দাবি, বিধানসভা কক্ষের মধ্যেই বিধায়করা সুরক্ষিত নন। তাহলে বাইরে কী হবে? এদিকে আবদুল মান্নানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময়ে বাম কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হন বিধানসভার চিফ মার্শাল সহ অন্য মার্শালেরা। এদিন ঘটনার পর যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আবদুল মান্নানকে দেখতে যান সদস্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মানস ভুঁইয়া ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। গিয়েছিলেন বাম বিধায়ক সুদর্শন রায়চৌধুরীও।