বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল গণপিটুনি প্রতিরোধ আইন। বামেদের সমর্থন পেয়েছে এই আইন। তবে তাদের বেশ কিছু প্রশ্ন আছে। তাদের দাবি ছিল এটা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠিয়ে আরও কিছু রদবদল। কিন্তু তা না করে আইন আনতে তাড়াহুড়ো করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বামেরা। অন্যদিকে এই বিল আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, সুপ্রিম কোর্ট গণপিটুনি রুখতে আইন আনার পরামর্শ দিয়েছিল। সেই পরামর্শ প্রথম বাস্তবায়িত করল পশ্চিমবঙ্গ।
কেন্দ্র এখনও গণপিটুনি প্রতিরোধে কোনও আইন আনেনি। অন্য রাজ্যগুলিও এখনও এই আইন আনতে পারেনি। সেখানে শীর্ষ আদালতের পরামর্শ মেনে প্রথম তা করে দেখাল পশ্চিমবঙ্গই। এই বিলে সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত রাখা হয়েছে। যথেষ্ট কড়া করা হয়েছে আইন। গণপিটুনি রুখতে এই আইন বড় ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
গণপিটুনি রুখতে সমাজে সচেতনতা তৈরি করা। মানুষের কাছে পৌঁছনোর ওপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। দলমত নির্বিশেষে এই সচেতনতা গড়ে তোলার কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা সারা দেশেই বেড়েছে। যা রুখতে কড়া আইন আনার প্রয়োজন ছিল বলে মেনে নিচ্ছেন সকলেই।