পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার সিএএ বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে পেশ করেন। কেরালা, পঞ্জাব ও রাজস্থানের পর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এই প্রস্তাব পেশ করা হল। ওই ৩ রাজ্যে যেমন বিধানসভায় এই সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়ে গেছে। ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও এদিন তা পাশ হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিরোধীদের এই প্রস্তাবের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান।
বাম ও কংগ্রেস বিধায়কেরা এই প্রস্তাবে সায় দেন। তৃণমূল সরকারের পাশে দাঁড়ান। অন্যদিকে বিজেপি বিধায়কেরা এর বিরুদ্ধাচরণ করেন। যদিও সংখ্যা গরিষ্ঠতায় এদিন সহজেই বিধানসভায় গৃহীত হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব। এদিন অবশ্য প্রস্তাব গ্রহণের আগে কিছু পরিবর্তন ওই প্রস্তাবে আনতে চান বাম ও কংগ্রেস বিধায়কেরা। কিন্তু সরকার আপাতত সংশোধনী থেকে বিরত থেকে প্রস্তাব পাশের আর্জি জানান। তারপর আর না করেননি বাম-কংগ্রেস বিধায়কেরা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, সিএএ মানবিকতার পক্ষে লজ্জার। তিনি আরও বলেন, এনপিআর, সিএএ এবং এনআরসি একই সূত্রে বাঁধা। সব বিরোধী দলকে আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া সরিয়ে রেখে একসঙ্গে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার। এদিকে কেরালা, পঞ্জাব, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের পর এবার তেলেঙ্গানাতেও হয়তো এই প্রস্তাব গৃহীত হতে চলেছে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও সাফ জানিয়েছেন তাঁর রাজ্যে তিনি বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করাতে চলেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা