রাজ্য শাসনে তৃণমূলের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বাজেট পেশ হল শুক্রবার। বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বাজেট পেশ করতে গিয়ে রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ১.০৩% ও আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ ২.৬৮%-এ নামিয়ে আনা গেছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এদিন রাজ্য বাজেটে একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করেন অমিত মিত্র।
- ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নতিতে একগুচ্ছ প্রকল্প
- ২২ লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য
- বৃত্তিকর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব
- ভ্যাট কর আদায়ে গঠিত সেটলমেন্ট কমিশন তুলে দেওয়ার প্রস্তাব
- উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এক্ষেত্রে ২০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব
- বিশ্বর সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ই-ক্লাস তৈরির প্রস্তাব, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ৭৩২টি ভার্চুয়াল ক্লাস ও স্কুলে ২ হাজার ই-ক্লাস রুম তৈরির প্রস্তাব
- টিডিএস সার্টিফিকেট অনলাইনে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব
এদিন বাজেট পেশের সময় শেষ কয়েক বছরে রাজ্য সরকারে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বিপুল ঋণের বোঝা নিয়েও রাজ্যের উন্নয়নে তৃণমূল সরকারে অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রীর দাবি, সড়ক সংস্কার থেকে শুরু করে গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন, কৃষি ক্ষেত্রে রেকর্ড উৎপাদন থেকে শুরু করে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের উন্নয়নে নজিরবিহীন সাফল্য, খাদ্যশস্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে গুদাম তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছে। তাছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি, এমএসএমই সেক্টরে পশ্চিমবঙ্গই এমন একটি রাজ্য যেখানে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের ব্যাঙ্ক ফান্ড এসেছে। সেই সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর দাবি, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথীর মত প্রকল্পগুলিকে এখন দেশের বিভিন্ন সরকার অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।