সব জল্পনার অবসান। কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ফের প্রার্থী হচ্ছেন সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। বেশ কিছুদিন ধরেই সারদা মামলার শুনানিতে আদালতে হাজিরা দিতে গাড়িতে ওঠা নামার সময় জেলের মধ্যে থেকেই কামারহাটি থেকে ভোটে লড়ায় উৎসাহ দেখিয়েছিলেন মদনবাবু। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দলের হাতেই ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। যদিও প্রকাশ্যে এনিয়ে মুখ খোলেননি তৃণমূল নেতারা। সৌগত রায় প্রকাশ্যে মদন মিত্রের প্রার্থী হওয়া নিয়ে মুখ খোলায় তৃণমূলের তরফে তাঁকে সতর্কও করা হয়। এদিন তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে সেই সব জল্পনার অবসান ঘটালেন তৃণমূল নেত্রী। অন্যদিকে রেজ্জাক মোল্লা তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হওয়াটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। ভাঙর থেকে এই প্রাক্তন বাম নেতাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এছাড়া তৃণমূলে এবার যেসব বিখ্যাত মুখ প্রার্থী হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চিত্রাভিনেতা সোহম। সোহম প্রার্থী হচ্ছেন বাঁকুড়ার বড়জোড়া থেকে। বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল দাঁড়াচ্ছেন হাওড়া উত্তর কেন্দ্র থেকে। কালিম্পং থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মোর্চা ছেড়ে আসা হড়কা বাহাদুর ছেত্রী। ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া প্রার্থী হচ্ছেন শিলিগুড়ি থেকে। আর এক ফুটবলার রহিম নবিকে পাণ্ডুয়া থেকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে মঙ্গলকোট থেকে প্রার্থী করছে তৃণমূল। কার্শিয়াং থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে সান্তা ছেত্রীকে। এদিকে বালি কেন্দ্র থেকে সুলতান সিংকে এবার আর প্রার্থী করছে না তৃণমূল। সে জায়গায় বালি থেকে তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন প্রয়াত ক্রিকেটকর্তা জগমোহন ডালমিয়ার মেয়ে বৈশালী ডালমিয়া। বদল হয়েছে মন্ত্রী সোমেন মহাপাত্রর কেন্দ্রও। ২০১১ সালে তৃণমূলের সংখ্যালঘু মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৮। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৫৭ জন। বেড়েছে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যাও। ২০১১-এ যেখানে তৃণমূলের ৩১ জন মহিলা প্রার্থী ছিলেন, ২০১৬-এ তা বেড়ে হয়েছে ৪৫ জন।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ৬ দফায় ৭ দিন ভোট করা নিয়ে এদিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। রাজ্যের সঙ্গে বৈমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অসমে দুদফায় এবং অন্য তিন রাজ্যে এক দফায় ভোট করা সত্ত্বেও কেবল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কেন ছ’দফায় ভোট করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। আগামী শুক্রবার দলের ইস্তেহার প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।