দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হলেন এক তৃণমূলকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের সবংয়ে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি জয়দেব রাণা। সঙ্গে ছিলেন আরও ৩ দলীয় কর্মী। রাস্তায় আচমকাই তাঁদের ওপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাকিরা পালাতে সক্ষম হলেও জয়দেববাবু পালাতে পারেননি। দুষ্কৃতীরা তাঁকে বাঁশ, লোহার রড ও চেলা কাঠ দিয়ে মারতে থাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জয়দেব রাণার। দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় সিপিএম ও কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। অভিযোগের তির সরাসরি সবংয়ের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার দিকে। খুনের ঘটনায় মানস ভুঁইয়া সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে সবং থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে তৃণমূল। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানসবাবু। তাঁর পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই মৃত্যু হয়েছে জয়দেব রাণার। খুনের ঘটনায় ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, এই খুনের জন্য সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের বদলার মন্তব্যকে কাঠগড়ায় চাপিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্য জনসভায় মহম্মদ সেলিমের বদলা নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরই একজন নীরিহ মানুষ খুন হলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। দলের তরফেও একই দাবি করেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
Leave a Reply