
ভোটের দুপুরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বর্ধমানের জামুরিয়া। অভিযোগ এদিন স্থানীয় নান্ডিগ্রাম এলাকার এক ভোটার ভোট দিতে গেলে সিপিএম এজেন্টরা তাঁকে ভুয়ো ভোটার বলে দাবি করেন। পরে তাঁকে বুথ থেকে বার করে দেওয়া হয়। পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বুথের বাইরে বার করা হয়েছে বলে দাবি করেন ওই ব্যক্তি। এগিয়ে আসেন তৃণমূলকর্মীরা। অভিযোগ ওই ভোটারকে ভোট দিতে দেওয়ার দাবিতে তৃণমূল কর্মীরা হৈচৈ শুরু করলে আচমকাই তাদের ওপর চড়াও হন কিছু বিজেপি কর্মী। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন তৃণমূলের আরও বেশ কয়েকজন কর্মী। তাঁরা পাল্টা বিজেপি কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। শুরু হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। অবস্থা আয়ত্তে আনতে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ শুরু করে। পরে অবস্থা আয়ত্তে এলেও অনেকে ভোট দিতে যাওয়ার ব্যপারে আতঙ্ক বোধ করেন। নান্ডিগ্রাম পুরুষশূন্য চেহারা নেয়। অন্যদিকে কেশপুরেও এদিন দিনভর বিভিন্ন জায়গা থেকে সংঘর্ষ, বোমাবাজির খবর মিলেছে। কেশপুরের চরকা ও গরগজপোতায় সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বোমাবাজিও হয়। সংঘর্ষে দু জায়গায় ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে কেশপুরে এক মহিলা এজেন্টকে নগ্ন করে গ্রামে ঘোরানোর হুমকির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।