চাষজমির আলপথ ধরে ছুট, তাড়া তৃণমূল প্রার্থীকে
চাষজমির আলপথ ধরে ছুটলেন আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। তাঁর পোলিং এজেন্ট মার খান। তাঁকে বাঁশ দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থী।
কলকাতা : বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল এবার আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থী। এদিন সুজাতার মাথায় বাঁশের ঘা পড়ে বলে অভিযোগ। আহত হন তাঁর পোলিং এজেন্টও। সুজাতা মণ্ডলকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর দেহরক্ষীও আহত হন। ক্ষেতের আলপথ ধরে ছুটে রক্ষা পান সুজাতা। তাঁকে সেখানেও বাঁশ, লাঠি নিয়ে তাড়া করা হয়।
সুজাতার দাবি, তাঁর ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছেন বিজেপিকর্মীরা। তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়। সুজাতা মণ্ডল অভিযোগ করেন তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি আরান্ডি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বুথে তাঁর পোলিং এজেন্টকে বিজেপিকর্মীরা বসতে দিচ্ছেন না বলে খবর পেয়ে তিনি সেখানে হাজির হন। গ্রামে ঢুকতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন বিজেপিকর্মীরা। তারপর তাঁর ওপর আক্রমণ নেমে আসে।
গ্রামের লোকজনের পাল্টা দাবি, সুজাতা মণ্ডল গ্রামে ঢুকে এক গৃহবধূর ওপর চড়াও হন। ভাতের হাঁড়িতে পদাঘাত করা হয়। ওই গৃহবধূকেও মারধর করা হয়। তারপরই প্রতিবাদ জানান গ্রামবাসীরা। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি তাদের প্রার্থীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে হাজির হয়। সুজাতা মণ্ডলের ওপর আক্রমণ নিয়ে কালচিনিতে তাঁর জনসভা থেকে সোচ্চার হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে আলপথ পেরিয়ে এসে সুজাতা মণ্ডল অবস্থান শুরু করেন। পুরো ঘটনার রিপোর্ট চায় নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনার জেরে ওই এলাকায় প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এদিন দিনভরই কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অশান্ত হয়ে ওঠে ভোটপর্ব। রক্ত ঝরে। বোমাবাজির ঘটনা ঘটে একাধিক। বুথের সামনে বোমা পড়ার ঘটনাও সামনে আসে।
অবশ্য এদিন সবকিছু সত্ত্বেও ভোট পড়েছে নজরে পড়ার মতন। আগের ২টি পর্বের মতই এদিনও সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে ভোটদানে মানুষের উৎসাহ ছিল নজরকাড়া।