অনলাইনে কর প্রদানে জোর দেওয়ায় চলতি আর্থিক বছরে রাজস্ব বৃদ্ধির হার ১০৩ শতাংশ বেড়েছে। চাকরি হয়েছে ১৩ লক্ষ ২৭ হাজার তরুণ তরুণীর। এদিন রাজ্য বাজেট পেশ করতে গিয়ে এমনই জানালেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্ট দফতরে গিয়ে নথিপত্র দাখিলের দিন শেষ বলে এদিন জানান অর্থমন্ত্রী। বরং সে জায়গায় পুরোটাই অনলাইন ব্যবস্থার ওপর ভরসা করছে রাজ্য সরকার। আগামী আর্থিকবর্ষ থেকে ভ্যাট অডিট রিপোর্টও তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে এদিনের বাজেটে। উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির মধ্যে যাদের বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লক্ষ টাকার কম তাদের আগামী অর্থবর্ষ থেকে আর পুরো ভ্যাট দিতে হবে না বলে প্রস্তাব করা হয়েছে। বরং ন্যুনতম ভ্যাট দিলেই তাদের চলবে। ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক ব্যবসায় ভ্যাট তুলে দেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়েছে। এছাড়া স্ট্যাম্প ডিউটি ৫ শতাংশ থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে কর প্রদানের ব্যবস্থা আরও সরলীকরণ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন ফি-তে ২০ শতাংশ ছাড়ের কথাও প্রস্তাব করেছেন অমিত মিত্র।
শিক্ষা ও গ্রামীণ কর্মসংস্থান সেসও আরও ১ বছরের জন্য মকুব করার প্রস্তাব রয়েছে রাজ্য বাজেটে। দূষণমুক্ত পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বায়ো ডিজেল, সোলার ওয়াটার ফিল্টার, শালপাতার থালা-বাটি, টেরাকোটার টালি ও কেরোসিন স্টোভ করমুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে এগুলির দাম বাজারে কমবে। উপকৃত হবেন মানুষজন।