নবদম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে গত রবিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় নিউ দিঘায়। মৃতদের নাম প্রদীপ নায়েক ও পৌলমি রাউত। বছর ২৪-এর ওই যুবকের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানার দিকশাল এলাকায়। বছর ১৭-র কিশোরীর বাড়ি রামনগর থানার ফতেপুরে। সূত্রের খবর, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ সদ্যবিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর ঘরে চা দিতে যান এক হোটেল কর্মী। অনেক ডাকাডাকিতে ভিতর থেকে কারও সাড়া না মেলায় সন্দেহ হয় তাঁর। হোটেলের মালিককে খবর দেন তিনি। দরজা ভেঙে হোটেলের ঘরে যুবক ও কিশোরীর গলায় ফাঁস লাগানো দেহ চোখে পরে তাঁদের। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে নবদম্পতির নিথর দেহ উদ্ধার করে। মৃতদের বাড়ির লোককে ডেকে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রদীপ নায়েকের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী পৌলমির। তাদের সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি কিশোরীর পরিবার। শনিবার বিকেলে প্রেমিক প্রদীপের সঙ্গে পালিয়ে যায় পৌলমি। প্রাপ্তবয়স্ক হতে আরও ১ বছর বাকি। আইন মেনে বিয়ে করা যে সম্ভব নয় তা ভালো মতই জানা ছিল যুগলের। পুলিশের ধারণা, তাই মন্দিরেই বিয়ে সেরে মধুচন্দ্রিমার জন্য নিউ দিঘার হোটেলে গিয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। মেয়ের পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে এদিকে খেপে ওঠে কিশোরীর বাড়ির লোক। রামনগর থানায় যুবক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় যুবকের বাবাকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সেই খবর জানতে পেরেছিল নবদম্পতি। বাবার জন্য প্রেমিকের পরিবারের এহেন হেনস্থা হওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারেনি কিশোরী। প্রেমিকার পরিবারের আচরণ মর্মাহত করেছিল যুবককেও। কিশোরীর পরিবারের জন্য বিপদে পড়তে পারে তাঁদের ভালবাসা, এটা ভালমতোই আঁচ করতে পারেন তাঁরা। তাই বিয়ের পোশাকেই ওই দম্পতি চরম সিদ্ধান্তের পথ বেছে নেন বলে মনে করছে পুলিশ।