গত রবিবার রাতে বেহুলার চরে এক যুবকের নিথর দেহ চোখে পড়ে তাঁর এক পরিচিতের। জিৎ বাগচী নামে ওই ব্যক্তি মেমারি থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে হাত-পা বাঁধা যুবকের দেহ উদ্ধার করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় মৃতের নাম রাজা মালিক। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাতরা গ্রামে তাঁর বাড়ি। সেখানে খোঁজখবর নিতে পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃত্যুর দিন কয়েক আগে ঘনিষ্ঠদের কাছে নিজের বিপদের কথা জানিয়েছিলেন ওই যুবক। আত্মীয়দের দাবি, কিছুদিন আগে জিৎ বাগচী নামে এক জ্যোতিষী রাজার মৃত্যুযোগের বিষয়ে তাকে সাবধান করে দেয়। পাশাপাশি এও জানায়, ফাঁড়া কাটানোর বন্দোবস্ত করলেই বিপদ থেকে মুক্তি পাবে রাজা। এরপর গত রবিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ওই যুবক। তন্ত্রসাধনার সঙ্গে যুবকের মৃত্যুর যোগ থাকার ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। গোটা ঘটনার পিছনে কলকাঠি নাড়ানো মূলচক্রীর হদিশ পায় তারা। পুলিশের দাবি, অলৌকিক মৃত্যু নয়, রীতিমত পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে।
মৃত যুবকের দাদার নাম রামকৃষ্ণ মালিক। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে ভাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ ছিল তার। সেই সন্দেহের বশেই জিৎ বাগচী নামে এক আত্মীয়ের সাহায্য নেয় সে। জালে ফাঁসিয়ে রবিবার রাজাকে ছদ্ম জ্যোতিষীর সাহায্যে রামকৃষ্ণ খুন করার। জেরায় রামকৃষ্ণ ও জিৎ দুজনেই রাজা মালিককে খুনের সমস্ত পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। রামকৃষ্ণ ও জিৎকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।