আর কয়েকদিন বাদেই কর্মজীবন থেকে অবসর নিতেন মৃত্যুঞ্জয় কুমার। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় তাঁর বাড়ি। ইসিএলের কর্মচারি মৃত্যুঞ্জয়বাবুর ২ ছেলে। ছোট ছেলে মিথিলেশ কুমার কর্মসূত্রে পাটনায় থাকেন। বড় ছেলে মুকেশ কুমার চাকরির সন্ধান করছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে বাইকে করে বড় ছেলের সঙ্গে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। প্রৌঢ়ের ছেলের দাবি, পথে তার বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মাথায় চোট পেয়ে গুরুতর জখম হন তার বাবা। বাবাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা দেয় মুকেশ। কিছুক্ষণ পরে মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। এরমধ্যে হাসপাতালে এসে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতের গলায় দাগ আর মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে তাদের সন্দেহ হয়। প্রৌঢ়ের বড় ছেলেকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। জেরায় মৃতের বড় ছেলে জানায়, ফাঁকা মাঠের মাঝখানে বাইক দুর্ঘটনার কারণে মাথায় চোট পেয়ে তাতেই মৃত্যু হয়েছে তার বাবার। মৃতের ছেলের অস্বাভাবিক বয়ানে সন্দেহ দৃঢ় হয় পুলিশের। বানানো গল্পের জাল কাটতে মৃতের পরিবার ও পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশ জানতে পারে ইসিএলের নিয়ম অনুযায়ী চাকুরীরত অবস্থায় কারও মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের লোক সেই চাকরি পান। এরপরই পুলিশের ধারণা হয় বাবার চাকরির লোভেই হয়ত ছেলে বাবাকে হত্যা করেছে। যদিও এমন কিছু স্বীকার করেনি ছেলে। তবু বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।