কবিগুরুর হাতে গড়া পাদস্পর্শধন্য শান্তিনিকেতন নিবিড় প্রশান্তিময় পর্যটনস্থান। পর্যটকদের কাছে এই স্থানের আবেদন চিরকালীন। তার টানেই কলকাতার কালীঘাট থেকে ৬-৭ জনের একটি দল এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে। শনিবার দুপুরে ঘুরতে ঘুরতে বিশ্বভারতীর সামনে গিয়ে পৌঁছয় সেই দল। ভ্রমণ, আড্ডার পাশাপাশি দিব্যি চলছিল ছবি তোলার পর্ব। উপাসনাগৃহের সামনে যেতেই তাঁরা ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যা চোখে পড়তেই বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়ে দেন এখানে ছবি তোলা বারণ। অভিযোগ কেন ছবি তোলা যাবেনা এই নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন পর্যটকরা। নিরাপত্তারক্ষীরাও বোঝানোর চেষ্টা করেন এটা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের নিষেধ। যদিও তাতে তর্ক থামেনি। অভিযোগ এই সময়ে আচমকাই ওই পর্যটকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বহিরাগত কয়েকজন তৃণমূলকর্মী। পর্যটকদের মারধর করে ঠেলতে ঠেলতে বার করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন তাঁরা। এমনকি মহিলাদের শ্লীলতাহানি, নিগ্রহ করা হয় বলে দাবি আক্রান্তদের। তাঁদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্বভারতীর কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা।
তাঁদের পাল্টা দাবি, সময়ের আগে উপাসনা গৃহে ঢুকতে চেয়েছিলেন ওই পর্যটকের দল। ছবি তোলা থেকেও থামানো যায়নি তাঁদের। এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে উল্টে পর্যটকদের হাতেই তাঁরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ নিরাপত্তাকর্মীদের। ঝামেলার খবর পেয়ে বিশ্বভারতীর অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষী ও বোলপুর থানার পুলিশ এসে পরে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।