প্রথমে কল্যাণপুর। তারপর সেখান থেকে চাঁদমারি। ২ জায়গাতেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র পথ আটকাল পুলিশ। স্থানীয় সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে কার্যত ঘিরে রাখেন পুলিশ আধিকারিকরা। জোর করে পুলিশকে সরিয়ে এগোনোর চেষ্টা করলে কিঞ্চিত ধস্তাধস্তিও হয় বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে প্রবল তর্কও হয় পুলিশের। একদিকে তিনি যখন আসানসোলে যেতে বদ্ধপরিকর। উল্টোদিকে তখন পুলিশেও তাঁকে জানিয়ে দেয় কোনওভাবেই তাঁকে সামনে এগোতে দেওয়া হবে না। প্রথমে কল্যাণপুরে বাধা পেয়ে চাঁদমারি চলে যান বাবুল। কিন্তু সেখানেও পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। বাবুল সুপ্রিয়র দাবি ছিল গোষ্ঠী সংঘর্ষে অশান্ত আসানসোলের একটি ত্রাণ শিবিরে ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলতে যেতে চান তিনি। যদিও আসানসোলে তাঁর ঢোকা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও এদিন আটকে দেওয়া হয়। দুর্গাপুরের কাছেই লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপি কর্মীদের পথ আটকায় পুলিশ। পরিস্থিতি যা তাতে তাঁর আসানসোলে যাওয়া উচিত নয় বলে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বোঝানোর চেষ্টা করে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ দুপক্ষে তর্ক চলতে থাকে। পরে আসানসোলের দিক থেকে গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে ফিরতে হয় বিজেপি নেত্রীকে।
অশান্ত আসানসোলে এদিনও ১৪৪ ধারা জারি ছিল। চারদিক থমথমে। দোকানপাট বন্ধ। এর মধ্যেই চলেছে পুলিশের টহলদারি। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কলকাতা থেকেও পুলিশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাস্তার কোণায় কোণায় মোতায়েন রয়েছে ব়্যাফ। তবে এদিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বরং এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতাই বিরাজ করেছে সর্বত্র।