পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা থানার ক্ষীরপোতা গ্রাম। সেখানে ভাড়া বাড়িতে একাই থাকতেন রমেশচন্দ্র মণ্ডল। পেশায় তিনি শিক্ষক। কর্মসূত্রে ক্ষীরপোতায় থাকলেও তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর এলাকায়। সূত্রের খবর, গত ২৪ মার্চ ওই শিক্ষকের ফেসবুক টাইমলাইনে ভেসে উঠেছিল ‘বাই’ শব্দ। তখন বিষয়টি নিয়ে অত মাথাঘামাতে চাননি তাঁর ফেসবুক বন্ধুরা। তবে শিক্ষকের সেই ছোট্ট পোস্টের মধ্যে যে গভীর ইঙ্গিত ছিল তার টের মেলে গত বুধবার। বুধবার বিকেলে রমেশবাবু ফোন করেন তাঁর এক বন্ধুকে। তাঁর দাবি, ফোনে ‘চললাম, বিদায় বন্ধু’ বলার পর ফোন কেটে দেন রমেশচন্দ্র মণ্ডল। তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি শিক্ষকের মৃত্যুর সংবাদ পান বলে দাবি মৃতের বন্ধুর।
মৃতের ভাড়াবাড়ির মালিকের দাবি, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ অনেক ডাকাডাকিতে শিক্ষকের সাড়া না পাওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষকের ঝুলন্ত নিথর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনওরকমের মানসিক অবসাদ থেকেই ওই শিক্ষক আত্মঘাতী হয়েছেন। সেই অবসাদ প্রেমঘটিত কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মৃতের পরিবার যদিও শিক্ষকের আত্মহত্যার পিছনে প্রেমের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।