মাছ ধরার জাল দিয়ে বাঘমামাকে ধরা! এমন হাস্যকর প্রচেষ্টার কথা বোধহয় কেউ এতদিনে শোনেননি। আর সেই প্রচেষ্টাতেই গত শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের বাঘঘোড়া জঙ্গলে বাঘ ধরতে গিয়েছিলেন কিছু আদিবাসী শিকারি। ফলে যা হওয়ার ছিল তেমনটাই ঘটে যায়। মাছ ধরার ফাঁদ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে হালুম হুংকারে সকলকে তটস্থ করে ৩ জনকে জখম করে ফের গভীর অরণ্যে গা ঢাকা দেন দক্ষিণরায়। এটা ছিল গত শুক্রবারের ঘটনা। এরপরই এলাকায় আরও তঠস্থ হয়ে পড়েন সকলে। কাউকে জঙ্গলে যেতে মানা করে দেওয়া হয় বন দফতরের তরফে।
গত শুক্রবার আর বাঘের দেখা না মিললেও শনিবার সকাল ৬টার আশেপাশে লালগড়ের রাঙ্গামাটির জঙ্গলে ফের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা পান বনসুরক্ষা কর্মীদের কয়েকজন। তাঁদের দাবি, জঙ্গলে তাঁদের উপস্থিতি টের পেতেই বাঘটি ফের আত্মগোপন করে পডিহার জঙ্গলে। সাথে সাথে জঙ্গলে বাঘের উপস্থিতির খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। সূত্রের খবর, জঙ্গলে বাঘের বিচরণের খবর পেয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। বেলা গড়াতে সুন্দরবনের ৫ জন ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞের দল বন্দুক, লাঠিসোটা নিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে জঙ্গলে ঢুকে পড়েন। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। তবে সূর্য মাথার উপর উঠে গেলেও দক্ষিণরায়ের নাগাল পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে বাঘ ধরতে অত্যাধুনিক পদ্ধতির শরণাপন্ন হয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ভাদুলিয়া সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘের হদিশ পেতে দিনের আলো থাকতে গাছের ফাঁকে ফাঁকে উড়ান দিয়ে চলেছে ড্রোন। যদি ড্রোন ক্যামেরায় ধরা পড়ে বাঘের উপস্থিতি।