এই মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী রবিবারের সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত তাণ্ডব চালাল কার্যত গোটা দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতা তো বটেই, সেইসঙ্গে হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে প্রবল ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ের দাপটে অনেক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। টিনের চাল উড়ে গেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার। যা নেহাত কম নয়। এদিন ঝড়ের সময়ে ইকো পার্কে খেলছিল কয়েকজন শিশু। তাদের মধ্যে ১০টি শিশুর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ঝড় হয়ে বৃষ্টি হয়ে যেমন কালবৈশাখী বিদায় নিয়ে থাকে, তা কিন্তু এদিন হয়নি। বরং বৃষ্টি চলেছে গভীর রাত পর্যন্ত। সঙ্গে ছিল প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। ফলে রবিবার সন্ধের পর কার্যত ঘরেই আশ্রয় নেন শহরবাসী। যাঁদের বার হওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তাঁরাও শেষ মুহুর্তে তা ত্যাগ করেন। যাঁরা রাস্তায় বেরিয়েই পড়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি ফিরতে কিছুটা সমস্যার মুখে পড়তে হয়।