লেখাপড়া চলাকালীন বাড়ির চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হন সুপ্রিয়া সিংহ। মালদহের চাঁচল থানার ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ সিংহের সঙ্গে আড়াই মাস আগে বিয়ে হয় একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুপ্রিয়ার। বিয়ের আগে তাঁর শর্ত ছিল একটাই। বিয়ের পরেও লেখাপড়া চালিয়ে যাবেন তিনি। পড়াশুনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াবেন। সেই শর্ত ছেলের বাড়ি মানার পরেই বিয়েতে রাজি হন সুপ্রিয়া। বিয়ের পরে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতিও নেন তিনি।
পরীক্ষা দিতে সম্প্রতি বাপের বাড়ি আসেন সদ্যবিবাহিতা সুপ্রিয়া। কিন্তু পরীক্ষা আর দেওয়া হল না তাঁর। স্বামীর উপর প্রবল অভিমানে গত সোমবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই ছাত্রী। মৃতার বাপেরবাড়ির অভিযোগ, সুপ্রিয়ার স্বামী চায়নি স্ত্রী লেখাপড়া শিখুক। এই নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে চরম অশান্তির মধ্যে দিন কাটত নববধূর। সম্প্রতি স্বামী লেখাপড়া নিয়ে স্ত্রীকে গালিগালাজও করত বলে অভিযোগ। মৃতার পরিবারের এও দাবি, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য তাঁদের মেয়ের উপর নির্যাতন চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃতার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।