প্রশিক্ষণের নামে দিনের পর দিন চলছে র্যাগিং। এক মাস আগে প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরও মেলেনি ছুটি। পারিবারিক সমস্যার কারণে ছুটি চাইলেও ছুটি মিলত না। ডিউটির ক্ষেত্রে মানা হয়না কোনও সময়সীমা। উল্টে মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে রাতের পর রাত চলেছে প্রশিক্ষণের নামে অত্যাচার। প্রতিবাদ করলে কপালে জুটেছে মারধর, গালিগালাজ। এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে গত রবিবার রাতে ভেঙে যায় ধৈর্যের বাঁধ। নববর্ষের দিন রাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিলিগুড়ির অম্বিকানগরের আইআরবি ছাউনির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত র্যাফ কর্মীরা।
রাত ১০টা নাগাদ রিজার্ভ ইন্সপেক্টর সৌরভ চক্রবর্তী মাঠে হাজিরা দিতে বলেন ৬০০ অধস্তন কর্মীদের। তাঁদের অভিযোগ, রিজার্ভ ইন্সপেক্টর সেসময়ে মত্ত অবস্থায় ছিলেন। হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে সামান্য রুটি করতে না পারার শাস্তি হিসাবে তিনি কোমরের বেল্ট খুলে মারধর করেন তাঁদের। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীদের দাবি, অকথ্য গালিগালাজ দিতে দিতে কয়েকজনের মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারেন রিজার্ভ ইন্সপেক্টর। মারধরের ফলে কারও নাক, কারও মাথা ফেটে যায়। গুরুতর জখম ৬ জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপরই ছাউনিতে ফিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত র্যাফ কর্মীরা। প্রতিবাদে মধ্যরাত থেকে অনশনে ও ধর্নায় বসেন তাঁরা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে গভীর রাতে উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তদন্তের আশ্বাস পাওয়ার পর অনশন তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযুক্ত আরআইয়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।