চোখের সামনে স্ট্রেচারে শুয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছে রোগী। অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। অথচ সেই উপায় নেই। কারণ, জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দিলে রোগীকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো যাবে না। অভিযোগ, এই অজুহাত দেখিয়ে রোগীকে ফেলে রেখে ফেসবুক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার। যার পরিণতি হল মারাত্মক। ওয়ার্ড মাস্টারের উদাসীনতায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল জলপাইগুড়ির রায়কত পাড়ার বাসিন্দা মঞ্জু ঝায়ের। এই অভিযোগে সোমবার হাসপাতালে চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার আত্মীয়স্বজনরা।
গত রবিবার বুকে, পেটে দুঃসহ ব্যথা নিয়ে আসা মঞ্জু দেবীকে সদর হাসপাতালে রেফার করেন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা না করে সেইসময় কর্তব্যরত ওয়ার্ড মাস্টার রোগীকে ফেলে রেখে ফেসবুকে মজে যান। ঘণ্টা দুয়েক বিনা চিকিৎসায় কাতরানোর পর রোগীকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। সেখানে তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন মৃতার পরিজনরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মৃতার পরিবারের তরফ থেকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।