রাস্তার ধারে প্লাস্টিকের মধ্যে রাখা ছিল বোমা৷ সেটিকে বল ভেবে প্লাস্টিকটি কুড়িয়ে আনে বাচ্চা মেয়েটি। গোল জিনিসটা যে আদপে বোমা তা বুঝতে পারেনি ছোট্ট পৌলমী হালদারের শিশু মন। যার পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। খেলার জন্য বলের মত দেখতে বস্তুটি প্লাস্টিক থেকে বার করতেই তা ফেটে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার বাসিন্দা ছোট্ট পৌলমীর বাঁ হাত।
গুরুতর জখম ও সংজ্ঞাহীন শিশুকন্যাকে দ্রুত আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ বিস্ফোরণের সময় পৌলমীর কাছেই ছিলেন তাঁর দাদু হরেকৃষ্ণ দাস৷ মেয়ের বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন প্রবীণ ব্যক্তিটিও৷ বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাড়োয়া থানার পুলিশ। বিস্ফোরণের খবর চাউর হতেই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান৷ কে বা কারা লোকালয়ে বোমা রেখে গেল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।