State

মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি অব্যাহত, সিউড়িতে গুলি, বোমা নিয়ে সংঘর্ষ, মৃত ১

আদালতের নির্দেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য আরও ১ দিন ধার্য করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে বলে জানিয়েছিল তাঁরা। ফলে সোমবার সকাল থেকেই বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। এদিনও মনোনয়ন দাখিল ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া থেকে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, সব জায়গা থেকেই সংঘর্ষের খবর মিলেছে।

সোমবার সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের চেহারা নেয় বীরভূমের সিউড়ির ১ নং ব্লক। সূত্রের খবর, এখানে মনোনয়ন দাখিল করতে যাওয়ার জন্য বিজেপি প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের ভিড় জমেছিল সকাল থেকেই। অন্যদিকে শাসক দলের কর্মীরাও দলীয় কার্যালয়ে ভিড় জমাচ্ছিলেন। পুলিশও ছিল। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা তাঁদের প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করার জন্য মিছিল করে এগোন। অভিযোগ শাসক দলের কর্মীরা তাঁদের পথ আটকান। আর তাতেই অগ্নিগর্ভ চেহারা নেয় পরিস্থিতি। দু’পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। বৃষ্টির মত বোমা পড়তে থাকে। চলে গুলি। গুলিতে শেখ দিলদার নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে শেখ দিলদার তাঁদের কর্মী ছিলেন। সংঘর্ষ চলাকালীন তাঁর পেটে গুলি লাগে বলে খবর। রাস্তার ধারের একটি দোকানের চাতালে পড়ে যান তিনি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে মৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।


এদিকে বেশ কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর অবশেষে পিছু হঠেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। এলাকায় হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে বোমার আঘাতে তখন দাউদাউ করে জ্বলছে একের পর এক বাড়ি, দোকান। দ্রুত হাজির হয় দমকল। তাঁরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তবে তার আগেই অনেক বাড়ি ও দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে প্রচুর বোমার সুতলি দড়ি, কার্তুজের খোল। গোটা এলাকা দেখেই বোঝা গেছে কী ভয়ংকর সংঘর্ষ কিছুক্ষণ আগে সেখানে হয়ে গেছে।

তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে ঝাড়খণ্ড থেকে আসা দুষ্কৃতীরা এদিন হামলা চালিয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি শাসক দলের কর্মীরা তাঁদের ওপর চড়াও হন। দু’পক্ষে তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যে পরিস্থিতি এদিন সিউড়ির ১ নং ব্লকের মানুষজন দেখলেন তাতে তাঁদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সাতে পাঁচে না থাকা আমজনতা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব এসব মিটে শান্তি ফিরুক এলাকায়। এলাকায় পুলিশ টহল দিলেও পরিস্থিতি থমথমে।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button