সিউড়ির ১ নং ব্লকে সোমবার বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে মৃত্যু হয় শেখ দিলদার নামে এক যুবকের। আর এই মৃত্যুর পরই শুরু হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি তরজা। মৃত যুবক কাদের কর্মী তা নিয়ে ব্যস্ততা চরমে ওঠে। একদিকে বিজেপি দাবি করতে থাকে শেখ দিলদার তাদের কর্মী। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন মৃত ব্যক্তি বিজেপির সংখ্যালঘু শেলের সম্পাদক ছিলেন। অন্যদিকে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন বিজেপি নয়, মৃত ব্যক্তি তৃণমূলের কর্মী। বিজেপি পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীদের এনে হামলা চালিয়েছে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ গেছে তৃণমূল কর্মী শেখ দিলদারের।
বিভ্রান্তি আরও বাড়িয়ে দেন মৃত যুবকের বাবা। দুপুরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান তাঁর মেজবৌমা বিজেপির তরফে মনোনয়ন দাখিল করতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে। যারা তাঁর ছেলেকে খুন করেছে তারা তৃণমূল করে। এরপরই বিজেপি আরও জোরের সঙ্গে বলতে শুরু করে তাঁদের দাবি সত্য। কিন্তু তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে দেখা যায় মৃত শেখ দিলদারের বাবা তৌহিদ খানকে। সেখানে আবার তিনি দাবি করেন আগে যা বলেছেন তা বিজেপির চাপে। তখন তাঁর মাথার ঠিক ছিলনা। তাঁর ছেলে আসলে তৃণমূল করত। এরপরই অনুব্রতবাবু প্রশ্ন তোলেন, যিনি মারা গেছেন তিনি কোন দলের কর্মী ছিলেন তা বিজেপির বেশি জানা আছে না তাঁর পরিবারের? এই চাপানউতোর কিন্তু চলতেই থাকে। মৃত ব্যক্তি কাদের কর্মী সে তরজা সন্ধের পরও থামার নাম নেয়নি।