প্রতিদিন বিকেলে আবাসনের ছাদে হাঁটার অভ্যাস ছিল লিলি মুখোপাধ্যায়ের। সেই ছাদ থেকে পড়ে গিয়েই মৃত্যু হল তাঁর। বছর ৬৫-র বৃদ্ধার এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন গড়িয়ার বালিয়া এলাকার বাসিন্দারা। বালিয়ার একটি আবাসনের ৩ তলায় স্বামী ও ২ ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বৃদ্ধা। প্রতিদিনের মত গত রবিবার বিকেলে আবাসনের আরও কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে ছাদে পায়চারি করছিলেন তিনি। সন্ধে নামতে বাকি লোকজন ছাদ থেকে নেমে আসেন। আবাসনের বাসিন্দাদের দাবি, ফোনে কারোর সঙ্গে কথা বলায় তাঁদের সঙ্গে ছাদ থেকে নামেননি বৃদ্ধা।
রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ একটা বিকট শব্দ শুনে চমকে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরেই হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ চলে গিয়ে অন্ধকার নেমে আসে গোটা এলাকায়। শব্দের উৎসস্থলে এসে এলাকার লোকজন দেখেন, আবাসনের সামনের রাস্তায় পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ এসে সোনারপুর হাসপাতালে বৃদ্ধাকে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার সময় বিদ্যুতের তারে শরীর ঠেকে যাওয়ায় বিকট শব্দ হয়। বৃদ্ধার ভারে তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গোটা এলাকায়। বৃদ্ধা কি তবে ছাদ থেকে অসাবধানতা বশত পড়ে গেছেন? নাকি তাঁকে কেউ ছাদ থেকে নিচে ঠেলে ফেলে দিয়েছে? নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন? এই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।