তখন রাত ৯টা। শিলিগুড়ির সেবক রোডের কাছে একটি শপিং মলের সামনে তখনও বেশ কিছু মানুষের ভিড়। সেইসময়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি শপিং মলটির পিছনের দিকে একটি চিতাবাঘ দেখতে পান। জনবহুল শহরে চিতাবাঘ দেখে আঁতকে ওঠেন তাঁরা। একই অবস্থা হয় চিতাবাঘটিরও। সেও যে আতঙ্কে রয়েছে তা তার গতিবিধি থেকে পরিস্কার হয়ে যায় সকলের। এত লোকজন দেখে চিতাবাঘটি নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের খোঁজে শপিং মলের কাছে একটি মার্বেল পাথরের গুদামে ঢুকে পড়ে। সেখানে প্রথমে কিছুটা সময় চালের ওপর থাকে। তারপর সেখান থেকে নেমে আসে। ততক্ষণে গুদামের বাইরে উৎসাহী মানুষের ভিড় জমে গেছে। বেগতিক বুঝে বাঘও গুদাম থেকে বার হওয়ার চেষ্টা করেনি।
খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন বন দফতরের কর্মীরা। দ্রুত স্থানীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। ঘরের দরজা, জানালাও বন্ধ রাখার কথা জানান তাঁরা। খালি করে দেওয়া হয় শপিং মলও। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিলিগুড়ি ঘুমের দেশে যাওয়ার বদলে যেন আরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও অনেক রাত পর্যন্ত মানুষ সেখানে ভিড় করেছিলেন। এদিকে আইন না থাকায় রাতে বাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়া যায়নি। বরং চিতাকে ওই গুদামেই বন্দি রাখতে গুদামটির চারদিক জাল দিয়ে ঘেরা শুরু করেন বনকর্মীরা। যাতে বাঘ বেরিয়ে আর কোথাও যেতে না পারে।
শহরের ধার ঘেঁষে বয়ে গেছে মহানন্দা নদী। মহানন্দার অন্য ধার ঘেঁষে গভীর জঙ্গল। স্থানীয়দের অনুমান ওই জঙ্গল থেকেই হাজির হয় চিতাটি। এদিকে অনেক চেষ্টা করেও বৃহস্পতিবার বেলা পর্যন্ত চিতাকে বন্দি করতে পারেননি বনকর্মীরা।