স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কিছুদিন আগে নতুন পাড়ায় এসে উঠেছিলেন পেশায় মৃৎশিল্পী বাসুদেব পাল। সেই ঘর থেকেই শনিবার স্ত্রী, ২ সন্তান সহ উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ। ছেলে বিবেক ও মেয়ে সীমার নিথর দেহ পাওয়া গেল ঘরের বিছানা থেকে। ঝুলন্ত অবস্থায় সিলিং থেকে উদ্ধার হল বাসুদেব পাল ও তাঁর স্ত্রী ললিতা পালের দেহ। শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার পাপিয়াপাড়ায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। একই পরিবারের ৪ সদস্যের এমন মর্মান্তিক পরিণতি ঘিরে এখন রীতিমত উত্তেজিত এলাকাবাসী।
মৃতের বাবা বিজয় পালের দাবি, রাতভর কীর্তন শুনে বাড়ি ফিরে সকালে ছেলে, বউমা, নাতি ও নাতনির নিথর দেহ দেখতে পান তিনি। প্রতিবেশিদের সাহায্যে বৃদ্ধ খবর দেন স্থানীয় থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। মৃত মৃৎশিল্পীর হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। তাই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এটি সপরিবারে আত্মহত্যার ঘটনা নাও হতে পারে। সম্ভবত ২ খুদেকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর বাসুদেব পাল ও তাঁর স্ত্রীকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মৃত ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ছিলেন। তাই একসঙ্গে ৪ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে মৃতের স্ত্রীর প্রথমপক্ষের স্বামীর কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতদের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশিদের।