শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি বলতে মাত্র ১ কাঠা জমি। সেই জমির দাবিদার আবার ২ জন। ওইটুকু জমি কোনও একজন পাক বা জমির ভাগাভাগি হোক, দুটোর কোনওটাই চায়নি ছোট জামাই। অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির জমি সম্পূর্ণভাবে গ্রাস করতে চেয়েছিল সে। এই মতলবে ভায়রাভাইকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ উঠল মিঠু শেখের বিরুদ্ধে। বছর ৩৮-এর ব্যক্তির বাড়ি মালদহের চাঁচল থানার ভগবতীপুর গ্রামে। ওই এলাকায় সপরিবারে থাকতেন অভিযুক্তের বড় ভায়রা জাকির হোসেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ এলাকার চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন বছর ৪০-এর জাকির। ওইসময় দোকান থেকে তাঁকে ফাঁকা জায়গায় ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে জাকিরকে। কার্যসিদ্ধির পর এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলে মিঠু শেখকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এক গ্রামবাসী। তাকেও মিঠু শেখ কোপায় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত প্রতিবেশির চিৎকারে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। অভিযুক্তকে ব্যাপক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে চাঁচল থানার পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে।
গুরুতর জখম জাকির হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। মৃতের স্ত্রী মহসিনা বিবির দাবি, বছর কয়েক আগে তাঁর বাবা তসলিম শেখ মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি বড় জামাইয়ের নামে নিজের ১ কাঠা জমি লিখে যান। তারপর থেকেই ওই জমি হাতাতে চাইছিল অভিযুক্ত।