প্রায় ১ সপ্তাহ গোটা শিলিগুড়িকে আতঙ্কে রেখেছিল একটা চিতাবাঘ। গত বুধবার রাতের দিকে প্রথম তার দেখা মেলে শিলিগুড়ির সেবক রোডের কাছে একটি শপিং মলের পিছন দিকে। সেখান থেকে সেটি শপিং মলের কাছের একটি গুদামে আশ্রয় নেয়। গুদাম জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন বনকর্মীরা। রাতভর তল্লাশিও চলে। কিন্তু চিতাবাঘের সন্ধান মেলেনি। পরদিন সকালে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচাও পাতেন বনকর্মীরা। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বরং তারপর আর তাকে দেখতে পাওয়া যায়নি। কোথায় গেল চিতাটি? কোথাও ঘাপটি মেরে নেই তো? এ নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন শিলিগুড়িবাসী। এরপর গত সোমবার ফের তার দেখা মেলে। স্থানীয় কয়েকজন দাবি করেন চিতাবাঘটিকে তাঁরা কুকুর মেরে খেতে দেখেছেন। দাবিটা যে নেহাত ভুল নয় বনকর্মীরা তা বুঝতে পারেন কয়েক জায়গায় কুকুরের দেহাবশেষ মেলায়।
ফের খাঁচা পাতা হয়। তবে এবার পাতা হয় ২টি খাঁচা। একটিতে রাখা হয় ছাগল। অন্যটিতে কুকুর। কারণ বনকর্মীদের মনে হয় কুকুর খেতে বেশি পছন্দ করছে চিতাটি। তাঁদের সেই ধারণাই সত্যি হয়। গত মঙ্গলবার রাতেই সেই কুকুরের টোপ দেওয়া খাঁচায় কুকুর ধরতে ঢুকে বন্দি হয় চিতাটি।
শহরের ধার ঘেঁষে বয়ে গেছে মহানন্দা নদী। মহানন্দার অন্য ধার ঘেঁষে গভীর জঙ্গল। স্থানীয়দের অনুমান ওই জঙ্গল থেকেই হাজির হয় চিতাটি। মূলত সহজলভ্য খাবারের লোভেই সে শহরে হানা দেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। গত রাতে ধরা পড়ার পর দেখা যায় চিতাটির একটি চোখে কোনও গোলমাল রয়েছে। যদিও তা ঠিক কী ধরণের সমস্যা তা পশু চিকিৎসকরা পরীক্ষা করার পরই জানা যাবে। তবে বনকর্মীদের একাংশের ধারণা হয়তো চোখের সমস্যার কারণেই সহজে খাবার পেতে শহরের চলে আসছিল চিতাটি।