বৃষ্টির শব্দে এদিন ঘুম ভেঙেছে বর্ধমানের। ২ বর্ধমানেই এদিন ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রবল গরম থেকে মেলে রেহাই। শেষ কয়েকদিনে ভ্যাপসাভাবটা বেড়েই চলছিল। রোদে চাঁদি ফাটছিল। মাঝেমধ্যে মেঘের আনাগোনা হলেও বৃষ্টি ঝেঁপে নামেনি। ফলে বৃহস্পতিবার ভোর ভোর এমন দারুণ বৃষ্টিতে একটু বেশি সময়ই বিছানায় গড়িয়ে নিয়েছেন মানুষজন। এদিন ঝেঁপে বৃষ্টি হয়েছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতেও। বীরভূমের মল্লারপুরে এদিন বজ্রাঘাতে ২ জনের মৃত্যু হয়। খড়ের চালার কাঁচা বাড়িতে বাজ পড়ে। তখন ঘরে ছিলেন মা ও মেয়ে। ২ জনেরই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়। খড়ের চালা পুড়ে যায়। এদিকে মুর্শিদাবাদেও বজ্রাঘাতে ১ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মাঠে কাজ করার সময়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এছাড়া সকাল থেকে এই ২ জেলাতে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া।
এদিকে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জোড়া প্রভাবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও এদিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। বেলার দিকে মাঝেমধ্যে সামান্য রোদের উঁকিঝুঁকি নজরে পড়লেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুপুরের পর থেকে কলকাতার আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। এদিন সকালেও কলকাতার আকাশ ছিল মেঘে ঢেকা। বৃষ্টি না হলেও বৃষ্টির সোঁদা গন্ধ মাখা ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়ায় গরমে জেরবার মানুষজনের প্রাণ জুড়িয়েছে। কাজের দিন হলেও ঘামতে ঘামতে কর্মস্থলে পৌঁছতে হয়নি তাঁদের। এদিন সন্ধের দিকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শেষ কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভাল বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে তেমন একটা বৃষ্টি হয়নি।