জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলতলার বুথে ব্যালট ছিনতাই করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। পরে নতুন ব্যালট এনে ফের বুথে ভোটগ্রহণের নির্দেশ দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কারা এভাবে ব্যালট পেপারে আগুন ধরিয়ে দিল তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
একদিকে যখন ব্যালট পেপারে আগুন ধরানোর খবর মিলেছে, তখন রাজ্যের অন্য প্রান্তে ব্যালট পেপার ভর্তি ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্ষুব্ধ ভোটারদের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট পাথুরিয়াঘাটার কাশীপুরে একটি বুথে পুলিশের সামনেই ছাপ্পা ভোট চলছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ছাপ্পা ভোটে বাধা দেন। তাতে বুথের মধ্যেই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ঝামেলা লাগে। এরপর রেগে ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেন ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের একাংশ। এখানেই শেষ নয়। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে বুথে তালাও ঝুলিয়ে দেন স্থানীয়রা। বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে অবস্থা আয়ত্তে আনে।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের একটি বুথে ব্যালট বাক্স লুঠের অভিযোগ সামনে এসেছে। একটি ব্যালট বাক্স ভেঙেও দেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ ব্যালট পেপার ছিঁড়ে দেয় তারা। শুধু এখানেই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু বুথে ব্যালট পেপার ছেঁড়ার অভিযোগ সামনে এসেছে।
বীরভূমের মহম্মদবাজারের কুলিয়ার একটি বুথে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। কোথায় বাক্স গেল তার খোঁজ চলছে। মুর্শিদাবাদের রেজিনগরেও ব্যালট বাক্স লুঠের অভিযোগ সামনে এসেছে।