বীরভূমের ভাবঘাটিতে একটি বুথে ছাপ্পা হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েই সক্রিয় হয় পুলিশ। ধরপাকড় করা হয়। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে মুখে গামছা বাঁধা বাইক বাহিনীকে আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তার মাঝেই তাদের আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ দেখে অনেকেই বাইক ফেলে খেতের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে যায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও এদিন সক্রিয় ভূমিকা নেয় পুলিশ। এলাকা অশান্ত হওয়ায় আগে থেকেই পুলিশি বন্দোবস্ত ছিল যথেষ্ট। কড়া নিরাপত্তায় কোনও নড়চড় হতে দেয়নি পুলিশ। ফলে সকালে সামান্য উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও তারপর মোটের ওপর শাস্তিতেই কেটেছে ভোট।
বাঁকুড়ায় বাইক বাহিনীকে পাকড়াও করে লাঠিপেটা করে পুলিশ। তাড়িয়ে দেওয়া হয় এলাকা থেকে। অবাধে ভোট করতে সক্রিয় ভূমিকা নেয় পুলিশ।
হুগলির তারকেশ্বরে সকাল থেকেই দুষ্কৃতীরা মুখে কাপড় বেঁধে তাণ্ডব চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠছিল। খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশের বিশাল বাহিনী এসে বহিরাগতদের তাড়ানো শুরু করে। হুঁশিয়ারির সুরেই পুলিশ জানিয়ে দেয় কোনও অশান্তি না পাকিয়ে যেন তারা এলাকা ছেড়ে অবিলম্বে চলে যায়। ফের দেখতে পেলে ফল যে ভাল হবে না তাও বহিরাগত দুষ্কৃতিদের জানিয়ে দেয় পুলিশ। পাশাপাশি অটোগুলো থেকে দলীয় পতাকা খুলে ফেলার নির্দেশ দেয় পুলিশ। সেইসঙ্গে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের নিশ্চিন্তে ভোটদানের জন্য আশ্বস্ত করতে দেখা যায় পুলিশ আধিকারিকদের।
উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার একটি বুথে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। লাঠি উঁচিয়ে বহিরাগতদের দিকে তেড়ে যায় তারা। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।
অনেক জায়গায় অশান্তির খবর এলেই ছুটে গেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এরিয়া ডমিনেশনের রাস্তায় হেঁটেছে তারা। যদিও একদিকে যেমন পুলিশের সক্রিয় ভূমিকায় খুশি সাধারণ ভোটাররা। সেখানেই আবার কিছু বুথে পুলিশের সামনেই ছাপ্পা ভোট, বুথ জ্যাম, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ সামনে এসেছে।