পঞ্চায়েত ভোটে এদিন সকাল থেকেই বাংলার মাটি রক্তাক্ত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে। এদিন কিন্তু অশান্তি রুখতে অনেক জায়গাতেই পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। রক্ত ঝরেছে তাঁদের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর মহেশপুরে এদিন দুপুরের দিকে বহিরাগতরা এসে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে রুখে দাঁড়ান বাসন্তী থানার সাব ইন্সপেক্টর জয়ন্ত নস্কর। অভিযোগ বহিরাগতদের আটকানোর চেষ্টা করলে তারা এসআইয়ের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। রক্ত ঝরতে শুরু করে মাথা দিয়ে। এই অবস্থায় তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে যান ২ সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু তাঁরাও আক্রান্ত হন দুষ্কৃতীদের হাতে। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের ওপর এই আক্রমণে অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
একইভাবে মালদহের রতুয়ায় এদিন আক্রান্ত হয় পুলিশ। বাখরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে অশান্তি থামাতে গিয়ে মাথায় ইটের আঘাত লাগে স্থানীয় থানার ওসি-র। তাঁর মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাঁদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার ২ নং ব্লকের একটি বুথে তৃণমূল ও নির্দল প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন অশোকনগর থানার এসআই। আহত হন আরও ২ পুলিশকর্মী। পরে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া এদিন জ্যাংরাতেও উত্তেজনা থামাতে গেলে আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকে।