পঞ্চায়েত ভোটে বুধবার সকাল থেকে ১৯টি জেলার ৫৭২টি বুথে শুরু হয় পুনর্নির্বাচন। এদিন বুথ পিছু একজন করে এসএসআই পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক রয়েছেন। রয়েছে ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুনর্নির্বাচনেও এড়ানো যায়নি গোলমাল। অশান্তির খবর এসেছে কয়েকটি জায়গা থেকে।
মালদহের রতুয়ার বাঁকড়া গ্রামে এদিন সকাল থেকেই দুষ্কৃতী তাণ্ডব শুরু হয়। অভিযোগ এখানে অনেক ভোটারকে বাড়ি থেকে বারই হতে দেওয়া হয়নি। বুথ থেকে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মাস্কেট বাহিনী ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। পরে অবশ্য ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয় বলে পুলিশ প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করা হয়। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে এনে এরপর শুরু হয় ভোটগ্রহণ পর্ব।
উত্তর ২৪ পরগনার ভালুকাতে এদিন পুলিশি তৎপরতার মুখে এলাকায় ঢুকে বিপদে পড়ে যায় বহিরাগতরা। নিজেদের স্থানীয় লোকজনের আত্মীয়, পরিচিত বলে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পুলিশ তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। কোনওভাবেই বহিরাগতদের আনাগোনা এখানে বরদাস্ত করেনি পুলিশ। পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে একের পর এক গাড়ি।
মুর্শিদাবাদের মহেশপুরে এদিন বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। তবে টুকটাক ঘটনা বাদ দিলে এদিন পুলিশের কড়া নজরদারিতে ভোট কিন্তু মোটের ওপর শান্তিতেই চলে। তবে কোথাও আতঙ্কে ভোট দিতেই সাহস করে না আসায় বা কোথাও রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের বুথে আসতে দেরি হওয়ায় ভোট কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। গত ১৪ মে যে সন্ত্রাসের ছবি রাজ্যের বিভিন্ন কোণায় ধরা পড়েছিল, তা এদিন কিন্তু উধাও। যেসব বুথে অশান্তি হয়েছিল, সেখানে এদিন ভোটারদের বিশাল লাইন চোখে পড়ে। ভোটগ্রহণ চলে নিশ্চিন্তেই।