ভোটকর্মীদের হাতে হেনস্থার শিকার হলেন রায়গঞ্জের এসডিও টিএন শেরপা। তাঁকে লক্ষ্য করে উড়ে এল জুতো। কেউ ছুঁড়ে দিলেন জল। ভিড়ের মধ্যে থেকে আওয়াজ ভেসে এল জামা খুলে ফেলুন। কোনওক্রমে পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। যদিও টিএন শেরপার দাবি এখানে অনেকের ক্ষোভ রয়েছে শুনে তিনি তাঁদের কথা শুনতে এসেছিলেন। প্রশাসনের তরফে কথা শুনতেই তাঁর আসা। সেখানে এভাবে হেনস্থার শিকার হতে হল তাঁকে।
ঘটনার সূত্রপাত এক প্রিসাইডিং অফিসারের মৃত্যুকে সামনে রেখে। অভিযোগ ভোটের দিন হঠাৎ ভ্যানিস হয়ে যান উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের একটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে থাকা রাজকুমার রায়। তারপর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। অবশেষে গত মঙ্গলবার সন্ধেয় রায়গঞ্জের কাছে রেললাইনের ধার থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর রহস্যমৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তবে অন্য ভোটকর্মীদের দাবি, ভোটের দিন উপযুক্ত নিরাপত্তা না থাকায় রাজকুমার রায় অপহৃত হন। তারপর তাঁর এই পরিণতি হয়। তাই তাঁরা কেউই ভোট গণনার দিন সুরক্ষিত বোধ করছেন না। ভোট গণনার দিন বাড়তি নিরাপত্তার দাবিতে এদিন সকাল থেকেই সরব ছিলেন ভোটকর্মীরা। সেইসঙ্গে রাজকুমার রায়ের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত দাবি করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যু তদন্তভার সিআইডি-র হাতে অর্পণ করা হয়েছে।
ক্ষুব্ধ ভোটকর্মীদের কথা শুনতে এদিন রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক টিএন শেরপা হাজির হলে তাঁকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। সেইসময়ে তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয়। হেনস্থার শিকার হন তিনি। সরকারি কর্মীদের এহেন আচরণে প্রশাসনিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে।