নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা চারুলতা পোদ্দারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল স্থানীয় এক ব্যক্তি জ্যোতিন্দ্রনাথ রায়ের। স্থানীয়দের দাবি, প্রায়শই চারুলতার ঘরে রাতে হাজির হত জ্যোতিন্দ্রনাথ। গত মঙ্গলবারও রাতে হাজির হয় সে। মদ্যপ অবস্থায় জ্যোতিন্দ্রনাথ ঘরে ঢুকে দেখে তার প্রেমিকা চারুলতার সঙ্গে রয়েছে চারুলতার নাতনি। মাত্র ৪ বছর বয়সের ছোট্ট মেয়ে ঠাকুমার সঙ্গে তখন খেলা করছিল।
অভিযোগ, ঘরে ঢুকে চারুলতার নাতনিকে দেখেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে জ্যোতিন্দ্রনাথ। পকেট থেকে বন্দুক বার করে ছোট্ট শিশুর মাথায় গুলি চালায় সে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে ছোট্ট মেয়েটি। তখনই তাকে বগুলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার পর চম্পট দেয় জ্যোতিন্দ্রনাথ। তবে বুধবার সকালে তাকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবার তো বটেই গোটা এলাকার মানুষ শোকে মুহ্যমান।