বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের গণনা। গণনা শুরুর পর থেকেই কিন্তু ট্রেন্ডটা পরিস্কার। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সব জেলাতেই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চেয়ে শতক্রোশ এগিয়ে তৃণমূল। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত, ৩ ক্ষেত্রেই ধারাটা একই। অনেক পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় স্থানে লড়াই দিচ্ছে বিজেপি। সিপিএম বা কংগ্রেস ৩ ও ৪ নম্বরে। অনেক জায়গায় আবার তারও পিছনে। কারণ সেসব জায়গায় নির্দল প্রার্থীরা দারুণ ফল করছেন। যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ ভাঙড়।
বেশ কিছুদিন তাঁকে সেভাবে রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় অবস্থায় খুঁজে না পাওয়া গেলেও বীরভূমে একসময়ে বিজেপির দাপুটে নেতা দুধকুমার মণ্ডল কিন্তু ময়ূরেশ্বরে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনের দাঁড়িয়ে জয় পেয়েছেন। যা হয়তো আগামী দিনে ফের তাঁকে বীরভূমে দাপুটে অবস্থায় খুঁজে পাওয়ার লক্ষ্মণ বহন করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। দুধকুমার জয় পেলেও ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি কিন্তু এবার হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির।
অন্যদিকে ভাঙড়ে নির্দল প্রার্থীদের জয়জয়কার কিন্তু তৃণমূলকে চিন্তায় রাখল। তবে তৃণমূলের জন্য এটা ভাল খবর যে আরাবুল ইসলামের দাপট সেখানে এখনও অক্ষুণ্ণ। নিজে জেলে। কিন্তু ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেছেন আরাবুল ইসলাম। অন্যদিকে তাঁর ছেলে হাকিমুলও এদিন জয় পেয়েছেন।
এদিকে গত বিধানসভাতেও ঝোড়ো ফল করতে না পারা মালদহ ও মুর্শিদাবাদে কিন্তু এবার তৃণমূলের জয়জয়কার। ২টি জেলাতেই একাধিপত্য নিয়ে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন গণনা শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু জায়গা থেকে টুকটাক গণ্ডগোলের খবর মিলেছে। বারুইপুরে গণনাকেন্দ্রে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। মুর্শিদাবাদে বোমা পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবার কড়া নির্দেশ দিয়েছে জয়ী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিজয় মিছিল বার করতে পারবেনা কোনও দল। তবে সকাল থেকে তৃণমূল হাওয়া পরিস্কার হওয়ার পর অনেক জায়গায় উড়েছে সবুজ আবীর। ফেটেছে বাজি। আনন্দ হুল্লোড়ে মেতে উঠেছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।