পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিনও অশান্তি পিছু ছাড়লনা। কোথাও ২ দলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। কোথাও উঠেছে গণনা কেন্দ্রে ঢুকেও ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ। কোথাও সংঘর্ষে জখম হয়েছেন বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থকেরা। তবে এদিন পুলিশ ছিল যথেষ্ট সক্রিয়। যেখানেই ঝামেলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানেই দ্রুত পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা। লাঠি উঁচিয়ে ছুটে গেছেন পুলিশকর্মীরা।
এদিন সকালে গণনা শুরুর পর নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস গ্রাম পঞ্চায়েতে এগিয়ে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী। অভিযোগ সেকথা কানে যেতেই এক ব্যক্তি গণনা কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে ছাপ্পা মারতে শুরু করে। সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি হতে দেখে তেড়েও যায় সে। খবর যায় নির্বাচন কমিশনে। কমিশন দ্রুত সেখানে গণনা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। ওই ব্যক্তি তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করেছে বিরোধীরা।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় এদিন কংগ্রেস ও সিপিএম এজেন্টদের গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই সময়ে সংঘর্ষ বাধলে গুলি চলে বলে অভিযোগ। কংগ্রেস ও সিপিএমের দাবি ১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে গুলি নয়, ধারালো অস্ত্রের কোপ লেগেছে ওই ব্যক্তির। প্রতিবাদে এদিন ৩৪ নং জাতীয় সড়ক অবরোধও করেন কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীরা।
বীরভূমের মল্লারপুরে এদিন গণনা চলাকালীন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। অবস্থায় সামাল দিতে তৎপর হয় পুলিশ। লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান পুলিশকর্মীরা। তাড়া করতে করতে ২ দলের কর্মীদের গ্রামের মধ্যে নিয়ে যান তাঁরা। পুলিশের কড়া মেজাজের সামনে যে যেদিকে পারেন চম্পট দেন ২ দলের মারমুখী কর্মীরা।
যেখানেই গণনা চলছে সেখানেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে পুলিশ। গণনাকেন্দ্রের বাইরে রয়েছে ব্যারিকেড। তা পার করতে গেলে লাগছে উপযুক্ত পরিচয়পত্র। অভিযোগ এদিন সকালে বারুইপুরের গণনাকেন্দ্রে এই ব্যারিকেডে ভেঙে ২ তৃণমূলকর্মী গণনাকেন্দ্রের ভিতর ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের সময়মত ধরে ফেলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। ২ জনকেই আটক করা হয়েছে।
এছাড়াও বেলা যত গড়িয়েছে, ততই বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোটখাট ঝামেলার খবর এসেছে। অনেক জায়গাতেই বহিরাগতরা জমায়েত করার চেষ্টা করলে তাদের হঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। গণনাকেন্দ্রের আশপাশে কোনও দলের কর্মীদেরই উত্তেজনা সৃষ্টি করতে দেননি পুলিশ আধিকারিকরা।