ডাম্পারের ধাক্কায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যুকে ঘিরে শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বর্ধমান-কাটোয়া রোড। দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেন ৪টি গাড়িতে। বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে ব়্যাফ, পুলিশবাহিনী। দুপুর ২টো নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। অকুস্থল পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার অন্তর্গত ধরমপুর এলাকা। বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। শুক্রবার ধরমপুর গ্রামের কাছে ওই রাস্তার দু’ধারে গর্ত করে পাথর ফেলা হচ্ছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল পাথর বোঝাই একটি ডাম্পার ও একটি রোড রোলার। সেই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিল বর্ধমানমুখী একটি বাস। আর তখনই বর্ধমান থেকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন বছর ৬৪-র শেখ নুরুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই প্রবীণ ডাম্পারের পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ডাম্পারটি বাসটিকে জায়গা দেওয়ার জন্য পিছিয়ে যেতে থাকলে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন বাইক আরোহী। তার আগেই বাইক সহ ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হন তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় ডাম্পারের চালক। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। ঘাতক ডাম্পার, রোড রোলারে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। রাজ্য সড়কের ওপর ঘণ্টা খানেক ধরে চলে ভাঙচুর, অবরোধ, বিক্ষোভ। প্রায় ২ ঘণ্টা পর দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ ও ব়্যাফ গিয়ে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। আপাতত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পলাতক ডাম্পার চালকের খোঁজ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।