মনুয়া কাণ্ডের স্মৃতি আজও টাটকা! অন্য কোনও জায়গায়! অন্য কোনও রূপে। মনুয়া কাণ্ড অতীত। কিন্তু তার ছায়া ফিরে এসেছে বিভিন্ন ঘটনায়। তারই সাম্প্রতিকতম উদাহরণ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার ঘটনা। এক্ষেত্রেও স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামী খুন হয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের। মৃতের পরিবারও পুলিশের সঙ্গে সহমত। সোমবার সকালে নন্দকুমার থানা এলাকার রাজনগর হাইস্কুলের কাছে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির দেহ। মৃতের নাম গোবর্ধন সামন্ত। মৃতের মুখ ইট দিয়ে বীভৎসভাবে থেঁতলানো ছিল। পরিবারের অভিযোগ, গোবর্ধনকে খুনের পিছনে হাত রয়েছে তাঁর স্ত্রীর ও স্ত্রীয়ের প্রেমিক সমীর বর্মণের। স্থানীয় যুবক সমীরের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল গোবর্ধনের। সেই সূত্রে বন্ধুর বাড়ি মাঝেমাঝে আড্ডা দিতে আসত ওই যুবক। প্রতিবেশিদের দাবি, আড্ডার ছলে স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয় মৃতের স্ত্রী। এই নিয়ে প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত বলে খবর।
রবিবার রাতে সমীর গোবর্ধনকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর সারা রাত ছেলে বাড়ি ফেরেনি বলে দাবি মৃতের আত্মীয়দের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্কুলের পিছনে নিয়ে গিয়ে গল্প করতে করতে বন্ধুকে প্রচুর পরিমাণে মদ খাইয়ে দেয় অভিযুক্ত। নিজেও মদ্যপান করে। তারপর প্রেমিকার স্বামী নেশার ঘোরে বেহুঁশ হয়ে এলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সমীর। মৃত্যু নিশ্চিত করতে বন্ধুর মাথা উপুর্যপরি ইট দিয়ে থেঁতলে দেয় সে। প্রেমে পথের কাঁটা সরাতেই সম্ভবত এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। মৃতের স্ত্রী ও তার প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।